রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
এম আই ফারুক আহমেদ :
খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান খ্রিস্টিয়ান রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ- ১৯৮৩ রহিত করে সংশোধিত আকারে পুনঃপ্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল এবং বুদ্ধিস্ট রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ- ১৯৮৩ রহিত করে সংশোধিত আকারে পুনঃপ্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল- ২০১৮ সংসদে উত্থাপন করেন।
খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার বিধানের প্রস্তাব করা হয়। বিলে ট্রাস্টের প্রধান কর্যালয় ঢাকায় স্থাপনেরও প্রস্তাব করা হয়। বিলে ধর্মমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার বিধানের প্রস্তাব করা হয়। বিলে ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনেরও প্রস্তাব করা হয়। বিলে ধর্মমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ৮ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভা, ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
কালের খবর/১৫/২১৮